সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

আগস্ট, ২০২৪ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

Kaaler sondi

  কালের সন্ধি Biddamay Sarkar অজপাড়া গায়ের এক কলেজে এইচ এস সি পরীক্ষা চুকিয়েছি অনিরুদ্ধ নন্দি।শ্যামনগর মহাবিদ্যালয়" কলেজের নাম।  নিতান্তই অজপাড়া বলা চলে না। এতে নগরায়নের পদযাত্রা শুরু হয়েছে মাত্র। অনিরুদ্ধ এই কলেজের নামজাদা ছাত্রই ছিলো বটে। কবিতা লিখতে ও আবৃত্তিতে অনিরুদ্ধ কলেজে অদ্বিতীয়।  তার আরেকটা মস্ত গুন ছিলো, সেটাও কোনো দিক থেকে কম নয়। তা হলো ; গুছিয়ে যুক্তি তর্ক করা। অল্পদিনেই তার খ্যাতি কলেজের গন্ডি পেরিয়ে গেছে । বাজারে, খালের পাড়ের বাড়িগুলোতে অনিরুদ্ধের কথাই আলোচনা হয়। শান্ত স্বভাবের জন্য তাকে ভালোবাসতো সবাই। অনেকেই অনিরুদ্ধের কাছে আসে ছেলেকে পড়ানোর জন্য। কিন্তু সে পড়াতে রাজি হয়নি। তার পড়াশোনার পরে বাকি সময়টা সাহিত্য চর্চা করে কাটিয়ে দেয়। এভাবে বেশকিছু দিন কেটে যায়। প্রমিলা নামের এক মেয়ে পড়তো একই কলেজে।  অনিরুদ্ধ মেয়েটির প্রেমে পড়ে যায়। সত্যি বলতে, কোনো মেয়ের প্রতি এই প্রথম তার মনে প্রেম জেগে উঠেছে। কিন্তু মুখ ফুঠে এখনো কিছুই বলা হয় নি।  দুটি মন যে অত কাছাকাছি আসতে চায়, এত আকর্ষণ করে, দুর্দমনীয় আকর্ষণ। গতকাল পরযন্ত ও তার বোধগম্য ছিলো না। যে অনি পড়া...

একাকীত্ব

  একাকীত্ব   বিদ্যাময় সরকার  একাকীত্বকে জানো তাকে জানবার দূর্ভাগ্য সবার হয়না আবার, কারো দূর হয় না। যেমন আমার আমি জানি এবং ভালোভাবে জানি তাকে নিবিড়ভাবে উপলব্ধি করেছি আমি তখন সাত বছরের শিশু যখন আমার মা চিরতরে চোখ বন্ধ করে। তখন থেকেই আমি নিজের সাথে নিজে কথা বলতে শিখি আমি তাকে আরো কাছ থেকে দেখেছি যখন একমুঠো খাবারের জন্য চায়ের দোকানে দিন-রাত অত্যাচার সহ্য করেছি আমি তাকে বন্ধু মেনে নিয়েছি যখন সমবয়সী ছেলে-মেয়ে পূজার পোশাক কিনে আমি তখন চায়ের কেটলি, রুটির তাওয়া মাজি এখন সে আমার জীবনের একটা অংশ দখল করে নিয়েছে আমার জীবনে অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িয়ে আছে এখনো মায়ের কবরে গেলে কি হয় জানো! অনেক চেষ্টার পর তাড়ানো যায় তাকে সেও চলে যায়........... আমি মায়ের কোলে মাথা রেখে সেই ঘুম পাড়ানির গান শুনি। এভাবে কিছু সময় যায় আবার সে, চলে আসে কিন্তু এবার সে, একা আসলো না সাথে আসলো তার সহযাত্রীরা কারো নাম কান্না, কারো নাম যন্ত্রণা আবার কারো নাম স্মৃতিকাতরতা। আমাকে মনে করিয়ে দেয় কি আমার বাস্তবতা মনে করিয়ে দেয় আমার সাথে তার মিত্রতার কথা।

স্বপ্ন ডানা মেলেছে

স্বপ্নডানা স্বাপ্নিক   বিদ্যাময় সরকার    ফুরিয়ে আসছে তার জীবনীশক্তি  শান্তি পেত, যত আছে দূঃখ-জ্বালা মিটে যেত যদি মরে যেতো তক্ষুনি।  শ্রান্ত, ব্যর্থতার বানে জর্জরিত মনে স্বাপ্নিক মানুষটি ভাবে স্বপ্নঘেরা জীবন তার বড়ই আচমকা  ক্রমশ ধাবিত হচ্ছে পরিণতির দিকে  স্বপ্ন পূরণের উত্তেজনায় কাপে না আর তাই ভেবে চোখ জুড়িয়ে আসেনা তাঁর।  তৎবদলে, নিরাশার ঢেউ ভেতরটারে  শিথিল করে দেয়,নিস্তেজ করে দেয়।  হতাশার বলয় থেকে বেরিয়ে আসতে  মরা দূর্বার উপরে অশ্রুবিন্দু বিসর্জন করে।  ডালের পাখিরা তাই দেখে দেখে  আকাশকে দিচ্ছে বলে।  টলতে- টলতে অশ্রু তার মাটিতে পড়েনা  মিশে যাচ্ছে না মাটিতে  ঠিক তেমনি, স্বাপ্নিক মানুষটির সাধ-স্বপ্ন ঘিরে  বিষাক্ত কালোমেঘ নি:সংকোচে ভেসে বেড়াচ্ছে। 

বাউল গানের আসর

বাউল   সোনার দেশে বাউলের বেশে বিদ্যাময় সরকার   বাউল গান টেনে আনে আমারে, ঘরের বাহিরে  ঠিক তক্ষুনি, সমগ্র পৃথিবীর -সমগ্র সুর তুচ্ছ করে মন চলে গানের আসরে।  বটছায়ায় কত মায়ায়, বাজায় বাশি রাখাল মোরলিক বাঁশির সুরে, হৃদয় জুড়ে দেয়রে সোনার ঝিলিক। চৈত্রের ভ্যাপসা গন্ধ আকাশ ছুয়ে যায়, একতারার  টানে নদী বয়ে যায় নীরবে  নদী ছলছল চোখে দেখে, বাউল একতারা বাজায়  মধুর ঝঙ্কারে।  গানের মোহনায় দিগন্তের সমীরণ হারিয়েছে দিশা গোবর কড়ানি বুড়ির ক্ষনেকে মিঠে তৃষ্ণা। 

বিরহ মধুর হলো আজি

 বর্ষার একরাতে,  স্নিগ্ধ-শ্যামল ঘাসে ছিলাম বসে   আকাশের  ঐ পূর্ণ চন্দ্রিমা  আমার ব্যাথায়  খল খলিয়ে হাসে। আমি তারে পাইবার খুশিতে মশগুল হায়রে! তাকে পাইবার আশাটাই ছিল  মস্ত ভূল।। । কলমে : বিদ্যাময় সরকার  

চলো না নিশি জাগি

চলো হারিয়ে যাই   চলো নিশি জাগি বিদ্যাময় সরকার চলো না  আজ নিশি জাগি দুজন -দুজনার হয়ে যেসময় গিয়েছে-যেসময় যাবে যাক না বয়ে হয়তো নতুন কোনো গল্পে তুমি -আমি দুই পালা নেব। ইতিহাসে অক্ষয় প্রেমে জ্বলন্ত সাক্ষী হয়ে রব। চলো না আজ নিশি জাগি দুজন -দুজনার হয়ে। ফুল বাগিচা, কাস্তে বাঁকা চাঁদ আর জোছনা শোভিত রাত সাক্ষী হবে রয়ে। হাস্নাহেনা গেথে দেবো তোমার আউলা কেশে প্রণয় প্রলাপ করবে তুমি মুচকি হাসি হেসে। হাতে রেখে হাত, রাত হবে প্রভাত আবার যখন আসবে তুমি, বসবে মোর পাশে আদর-সোহাগ করবো অনেক তোমায় ভালোবেসে।

কাজের মাহাত্ম্য

কাজের মাহাত্ম্য     কাজের মাহাত্ম্য  বিদ্যাময় সরকার   মাটি কাটি, খেলা করি, মাছ ধরি..... সারাদিন করি বেশ, কাজতো আর হয় না শেষ।  কাজ-কর্ম যদি না থাকতো  জন্ম মোদের বৃথা হইতো। বিকৃত হইতো মানবের চরিত্র  বসুধাতে থাকতো না বৈচিত্র্য।  কোনো স্বচ্ছলতা থাকতো না  বিরাজ করতো দারিদ্র্যতা। হানাহানিতে পূর্ণ হতো বসুধা সবখানে জুলুম চলিত সকল মানুষের দ্বারা।  ক্ষয় হইতো মানবের আয়ু ঝঞ্জাট পূর্ণ তাদের প্রাণবায়ু। করিলে নিত্যকর্ম, বুঝিবে জীবনের মর্ম  সার্থক হবে মানবজন্ম। 

গল্পের আসর। দাদি নাতি-নাতনীদের গল্প শুনচ্ছে।

গল্পের আসর   গল্প বলা  বিদ্যাময় সরকার  নিরব সাঝের ডাকে - মনে শঙ্কা জাগে  তারই অবকাশে মনে আনন্দের ও ডঙ্কা বাজে। সারাদিন ঝরেছিল ঝমঝম বাদল ধারা আজি গল্প শুনতে মন হয়েছে পাগল-পাড়া  দাদি কে ডাক পাড়ি- একটা গল্প বলো না বুড়ি।  ভালোই জমবে জুটলে থালাভরা চানাচুর-মুড়ি।  ঘরের এক কোণে খাটে বসে পান চিবায়ে দাদি বলে  শোনো, পড়া নিলো কিসে  বলি মোরা ; পড়া নিলো রসে- বুড়ি মরে বিষে বুড়ি শুরু করে ; একদিন এক চাষি  মোদের দাবি, এটা শুনেছি।  বুড়ি ফের অন্য আরেকটা শুরু করে অন্যভাব নিয়ে। 

কবিতা:- মাছ ধরা, লেখক:- বিদ্যাময় সরকার || mach dhora, Biddamay sarkar

  মাছ ধরা বিদ্যাময় সরকার  ময়না,রাজু, অপু ও দিপু মাছ ধরিবে বলে  ফেলুন কাঁধে চারিজন তারা ফেলুয়া বিলে চলে। পথিমধ্যে দেখলো একটা ডুবা তারি মাঝে জারমুনি চুবা -চুবা। অপু বলল- শোনো সবাই  ঘুরাঘুরি না করিয়া চলো এইখানে যাই। দেখেছো ডুবা মাঝে বক ঝাঁকে -ঝাক  পুটিমাছে ঠোকর দিবে একটু পেলেই ফাক।  কোমর পানিতে নেমে সবাই -মাছ ধরিতে লাগলো মাছের নাচা-নাচি দেখে সবার মনে সাঁধ জাগলো।  দিপু বলে- ময়নারে মাছ উঠেনি ভাই  ময়না কয়- মোর জালিতে পা, দিলে তুই!                                মাছ উঠবে কি তাই! ডুবা থেকে উঠে সবাই -পল্লা সিচতে যায় ঐখানে গিয়ে তারা শালুক যে খোড়ায়।  সুরে- সুরে গান গায় আনন্দে মাতিয়া  কত মজা করে খাবে মা' দিবে রাধিয়া। হাওড় সারা হাটিয়া আসিল ফেলুয়া বিলে মাছতো ধরেনি রে সব এসেছে ফেলে।  বিলেতে জাল পাতা মাছ লেগেছে সারি গাঁথা।  তারা গিয়ে মাছ খুলে হায় জেলে এসে দিলো তাড়ায়  তাড়া খেয়ে এলো কচু গাঙ  কাদায়-পানিতে হলো চিৎপটাং  মাছের সাথে খেলা করে দিনটাই  গত...

ঝগড়া -ঝাটি/jogra-jhati

  ঝগড়া -ঝাটি বিদ্যাময় সরকার আমাদেরকে দলটি ভীষন সুন্দর প্রত্যহ তুলি মোরা হাসি -খুশির ঝড়। একে একে সকলের কথা করিব বর্ণন যারে আমি জেনেছি যেমন   এই প্রিয়াটা,  যেন রন চন্ডিকার  মূর্তি ঝগড়া না করলে তার মনে- থাকে না ফূর্তি। সজিবটা আসলে ঘাড় মোটা  সবাইরে জানাই প্রিয়ার সাথে যেন তার জাত-শত্রুর লড়াই। তারপরে আসি সুজনের কথায় সে বেচারা  এতটাই লাজুক  যেন শরমে মরে যায়।        আমি লেখি আবার ভালই বটে  সুরের হয়না তুলনা মনে হয় একসাথে একশো কুলাব্যাঙ জুড়েছে    মরা কান্না। সাগর হলো গিয়ে ফাঁকিবাজের একসের গ্রুপে কেন আস না বাপু?   কেন এত বাহানা কিসের? পাই তোমায় আচার বানাবো আমের। শুনো সবাই,  পপির  কথা বলি এবার নিজেরে বোঝদার দাবী করে বার বার। সবাই  মানে তারে ,  কেউ করে না আপত্তি   আমি  বুঝি  না কি   বলে এই  মটকি। বাকি  যারা আছে দলে যেচে কথা নাহি বলে। ওরা কারা রে.........নিরব দর্শকের মতো থাকে পাই তোদের  এমন ঘাট্টা দেবো কোমর যাবে বেঁকে...

প্রেম কি আর মায়া কি!Difference to love & attraction!

Love & attraction   অশরীরী শরীর পেলে / দুনিয়া খাবে গিলে  শুদ্ধ প্রেমের নাইরে সাড়া/ যুবক-যুবতীরা দিশেহারা।  হোয়াটসঅ্যাপ আর স্কাইপিতে চলছে দারুণ প্রেমলীলা / আড়ালে তার মুখোশ পড়ে খেলছে কামের হোলিখেলা। - বিদ্যাময় সরকার  অর্থ: মনে কামভাব জাগ্রত হলে শরীরকে মাধ্যম বানিয়ে যত অনাচার ঘটে। কাম অতৃপ্ত।। বর্তমানে সমাজে, মানুষ কামভাবে লিপ্ত হয়ে সেটাকে প্রেম বলছে। 

মুক্তির পথ-প্রদর্শন

" ছয়টুকরো জাল মন করেছে আচ্ছাদন  কোন অসিতে কাটবো গুরু এই মায়াজালের বাধন "- বিদ্যাময় সরকার   অর্থ : ছয়টি রিপু সবসময় মন জড়ায়ে রয়েছে। শিকারীর জালে আটকানো পাখি যেমন ছটপট করে মুক্ত হতে না পেরে। রিপু বেষ্টনী থেকে আমার মন মুক্ত হতে পারছে না। ছটপট করছে। তাই আকুল নিবেদন ; এমন কোনো পথ দেখাও যাতে আমি রিপুর আলিঙ্গন থেকে নিজেকে মুক্ত করতে পারি। 

রাত্রি জাগরনে যা হয়! Early to bed and early to rise, makes aman........

 " বোকারা রাত জাগরণ /করে অকারন  মস্তিষ্কের অবসাদে / মন পড়েছে রিপুর ফাঁদে । "- বিদ্যাময় সরকার  অর্থ : রাত্রি জাগরন করলে মস্তিষ্ক নিজের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।  কু-প্রবৃত্তি মনকে জড়িয়ে ধরে। যা শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য হানিকর। তাই অকারনে রাত্রিজাগরন করাটা বোকামি।

অ-খাদ্য,কু-খাদ্য। সংকট বিশুদ্ধ খাদ্যের। pure food

Pure food  "বাজার চলে গেছে বিষের দখলে  আর তাই গিলে চলছে সকলে।  নাইরে অমৃতের খোজ  পায় না কেউ আর শুদ্ধভোজ।"- বিদ্যাময় সরকার   অর্থ : ভেজাল মিশ্রিত খাদ্যদ্রব্যে বাজার পূর্ণ। বিশুদ্ধ খাবার এতটাই দুর্লভ, যতটা অমৃত। 

স্বরূপ সাধনা,, shorup sadhana

আত্মানুসন্ধান   * হে সূর্য্য, তোমারে দেখার সাধ্য কি আমার আছে  পোড়ে যাই, ভস্ম হয়ে যাই এই পাছে।  তাই,  শীতল জলের মাঝে  হেরি তোমায় - সকাল,বিকাল ও সাঝে।- বিদ্যাময় সরকার  অর্থ : বিধাতা তোমার দর্শন পাওয়ার যোগ্য নই আমি। তাই আকাশের সূর্য্য যেমন জলে প্রতিফলিত তেমনি তোমার রূপ তোমারই সৃষ্টির প্রতি কণায় বিদ্যমান। তাতেই তোমাই অনুভব করি।

বন্ধুত্ব কাকে বলে? what is the friendship?

* পাচজনে মিলে দৌড় যদি দাও পা' পিছলে আর সবার পিছনে পড়ে যাও।  যে পিছু ফিরে চাইবে  প্রকৃত বন্ধু তাকে মানবে। - বিদ্যাময় সরকার   অর্থ : জীবন যুদ্ধে তোমার বন্ধু যদি তোমার থেকে এগিয়ে যায় আর তোমার খবর রাখে তবে, সে তোমার বন্ধু নচেৎ নয়। 

আবেগঘন মুহূর্ত / Romantic moment

  Romantic শ্রাবণের কোনো এক রাতে, প্রিয়তমার কোলে মাথা রেখে যদি আরব্য-রজনী শুনতে পারতুম। হায়! বিরানভূমি সম বিরস হৃদয়ে ও আনন্দের ফোয়ারা বয়ে যেতো।- বিদ্যাময় সরকার 

সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব কোথায়? Where existence of god?

noor  ★  তুমি রহিয়াছো আধারে আর আমি আলোতে  তাই বোধহয় জ্যোতি সঞ্চালিতে নারী তোমাতে।  না হয়, তুমি কিবা আলোতে, এতই আলোতে  যার  ঝলকে, আমার অন্তরজ্যোতি পড়িয়াছে মহা-দ্বন্ধে । - বিদ্যাময় সরকার।  অর্থ : হে,পরমপিতা মনে হয় তুমি মহাবিশ্বের নিকষ অন্ধকারে, আর আমি আলোতে। তাইতো তোমায় দেখতে পারছি না। তুমি ঠিকই আমাকে দেখতে পাচ্ছো। (আরও গভীরে গেলে এর অর্থ দাড়ায়: তুমি নিরাকারে আছো। তাই তোমায়  সাদা চোখে দেখতে পাইনে।)  নাহয়, তুমি আলোতে রয়েছো। (তুমি সাকার রূপে সবার মাঝে আছো) আলোর ঝলকে আমার অন্তরজ্যোতি(জ্ঞান) পড়িয়াছে মহা-দ্বন্ধে (তোমায় দেখেও চিনতে পারছি না)

মাতৃভাষার মর্যাদা / আপন সংস্কৃতি

মাতৃভাষা     বঙ্গভূমিতে জন্ম তোমার / বাংলা তোমার অহংকার। বাংলা বলতে ভোগ যবে শরমে/ তবে বুঝবি পচন ধরেছে মরমে। আপন ভাষা বিনে / যেথা কোনো ক্ষণে। শান্তি নাই আর / হায়!কুলাঙ্গার। - বিদ্যাময় সরকার   অর্থ :মাতৃভাষা নিয়ে কখনো হীনমন্যতায় ভুগবেন না। অন্য ভাষার বাজার দর  থাকলেও মাতৃভাষায় শান্তি আছে।

শুদ্ধ প্রেম

    বিপদের কালো মেঘ উঠলো ডেকে যবে ভক্তির ভাবও উদয় হইলো তবে।  জুট! তব এই মিনতি - ভয় ছিল কোথায়?  ভ্রষ্ট হয়েছিল যবে তোর মতি।  নির্মল চিত্তে / প্রভুর নিমিত্তে।  ফেলো আখিঁজল / আসবে সুখ মনে অবিরল।। - বিদ্যাময় সরকার  অর্থ : যখন অপকর্মের ফলভোগের সময় আসে, তখনই কেবল ভগবানের কথা মনে পড়ে।  তাহার শরণ নেই।  কিন্তু দুষ্কর্ম করার সময় বেমালুম, তাহাকে ভুলে যাই।  তাই সর্বদা কর্মফল নয় কর্মকে নিয়ন্ত্রণ করা উচিত। আমারা কেউ কখনই কৃতকর্মের ফল ঠেকাতে পারি না।  ইহা অমোঘ, ফলবেই। 

শরীরের নিগূঢ়তম তত্ত্ব নিয়ে লেখা /significant information of body.

  Body structure  বায়ুর বলে,  পুতুল চলে  বড়াই না করিস রে মন  প্রাচীর একদিন গড়বে শমন।  আসা-যাওয়ার খেলা বন্ধ  আলো-আঁধারির ঘুচবে দ্বন্দ্ব।  ভুলে রহিয়াছো যারে  নতুন করে চিনবে তারে।  কাজের হিসেব দিয়া আবার - সময় হলো কাজে যাবার।  ইচ্ছামতো সাজাইলাম ঘর সময় দিলো মন কারিগর। - বিদ্যাময় সরকার অর্থ : দেহটাকে পুতুলের সাথে তুলনা করা হয়েছে। ।  সেই  পুতুল দমে চলে। অহংকার না করতে বলা হয়েছে । কারন, একদিন মৃত্যুর স্বাদ পেতেই হবে। তখন অহংকার করার মতো কিচ্ছু থাকবে না। সংসারের মায়ায় পড়ে সৃষ্টিকর্তার কথা ভুলে গিয়েছিলাম। দেহত্যাগ পরবর্তী সময়ে  আবার সাক্ষাৎ হবে। আমার পরীক্ষকের সাথে। কাজের জবাবদিহি করে আবার যেতে  হবে কোনো পরীক্ষা হলে।  পৃথিবীতে এসে, আমি নিজের মতো করে আমার ভুবন সাজিয়েছি। কিন্তু সময় হলে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে। আমার কিছু করার থাকবে না।