সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

জুলাই, ২০২৪ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

Kaaler sondi

  কালের সন্ধি Biddamay Sarkar অজপাড়া গায়ের এক কলেজে এইচ এস সি পরীক্ষা চুকিয়েছি অনিরুদ্ধ নন্দি।শ্যামনগর মহাবিদ্যালয়" কলেজের নাম।  নিতান্তই অজপাড়া বলা চলে না। এতে নগরায়নের পদযাত্রা শুরু হয়েছে মাত্র। অনিরুদ্ধ এই কলেজের নামজাদা ছাত্রই ছিলো বটে। কবিতা লিখতে ও আবৃত্তিতে অনিরুদ্ধ কলেজে অদ্বিতীয়।  তার আরেকটা মস্ত গুন ছিলো, সেটাও কোনো দিক থেকে কম নয়। তা হলো ; গুছিয়ে যুক্তি তর্ক করা। অল্পদিনেই তার খ্যাতি কলেজের গন্ডি পেরিয়ে গেছে । বাজারে, খালের পাড়ের বাড়িগুলোতে অনিরুদ্ধের কথাই আলোচনা হয়। শান্ত স্বভাবের জন্য তাকে ভালোবাসতো সবাই। অনেকেই অনিরুদ্ধের কাছে আসে ছেলেকে পড়ানোর জন্য। কিন্তু সে পড়াতে রাজি হয়নি। তার পড়াশোনার পরে বাকি সময়টা সাহিত্য চর্চা করে কাটিয়ে দেয়। এভাবে বেশকিছু দিন কেটে যায়। প্রমিলা নামের এক মেয়ে পড়তো একই কলেজে।  অনিরুদ্ধ মেয়েটির প্রেমে পড়ে যায়। সত্যি বলতে, কোনো মেয়ের প্রতি এই প্রথম তার মনে প্রেম জেগে উঠেছে। কিন্তু মুখ ফুঠে এখনো কিছুই বলা হয় নি।  দুটি মন যে অত কাছাকাছি আসতে চায়, এত আকর্ষণ করে, দুর্দমনীয় আকর্ষণ। গতকাল পরযন্ত ও তার বোধগম্য ছিলো না। যে অনি পড়া...

আধ্যাত্মিক লেখনী _ spiritual poem

ধ্যান   " ষড়রিপু করতে পারিসনে জয়  সাধন-ভজনে আর কিবা হয়?" - বিদ্যাময় সরকার   অর্থ : অধিকাংশ মানুষই রিপুর দাসত্ব করে।   ছয়টি রিপুকে বশে না আনতে পারলে। সব সাধন-ভজন বিফল। যদি কেউ মনকে অন্তর্মুখী করে জাগতিক মায়াজাল কাটতে পারে।  তবে সে সিদ্ধপুরুষ, মহাসাধক। কোনো বেশ-ভূষার প্রয়োজন হবে না। 

চাঁদনী রাতে নৌবিহারের অনূভুতি

চাঁদনী রাত * শূন্য মাঝে প্রতিরাতে বসে তাঁরার মেলা  নীলের তলে- বিলের জলে মাছেরা  করে খেলা।  পদ্মার এই রূপে আওয়াল মাঝি হয়রে, আলাবোলা।- বিদ্যাময় সরকার 

বর্ষার রূপ || Beauty of rainy season

বর্ষার রূপ   বর্ষার পানিতে পরিপূর্ণ হলো নদী  সারাবেলা নদীর পানি ধেয়ে চলে নিরবধি।  একটু বাতাসের আভাসে,  নদীর জল উঠে ফুলে তারই সাথে তাল মিলিয়ে কচুরি-পদ্ম উঠে দোলে।- বিদ্যাময় সরকার  

Cloud :The moment before the rain in the eyes of the poet

cloud   শ্রাবনের এক সকালে উর্ধ্বপানে চেয়ে দেখি ; একদল মেঘ কষ্ণকায় অশ্বারোহীর মতো দুর্দান্ত গতিতে ধেয়ে আসছে।  তার অপর প্রান্তে শ্বেতবর্ণ অশ্বারোহীর মতো আরেক দল মেঘ স্থীর দাড়িয়ে  আছে।  চোখের পলকে তুমুল যোদ্ধ বেধে গেল; কৃষ্ণবরণ দলটি শেতবরণের বূহ্যভেদ করে সমগ্র রণক্ষেত্র গ্রাস করে ফেলছে।  ত্রাহি -ত্রাহি রবে সারা ময়দানে। শঙ্কনাদে গমগম করছে। তরবারির ফলার ঘরষনে চারিদিক ঝলছে যাচ্ছে।  

মানুষের কারসাজি || manusher karshaji

Human nature  মানুষের কারসাজি     বিদ্যাময় সরকার    মানুষ তুমি ভাঙতে পারো,  ভেঙেও পারো গড়তে পারোনা শুধু গড়তে তুমি, যত সহজে পারলে ভাঙতে।    মাটির খাঁচার পাখিটাকে তুমি চিরদিন পারলে ছাড়তে    খাঁচা ছাড়া পাখিটাকে পারলে না আর ফেরাতে।    বিশ্বপরিক্রমায় পারলে কত কিছু  জানতে    পারলে না শুধু আপন দেশের, আপন খবর রাখতে! কুসুম কলি ছিড়ে পারলে পদে দলিতে  তোমার জন্য পাপড়িগুলো স্তবকে পারলো না মিলিতে।    ধিক্কার জানাই! ধিক্কার জানাই তুমি 'মানুষ বলে - তুমি মানুষ, তাই তোমায় শত ধিক। 

লেখক পরিচিতি

  বিদ্যাময় সরকার   সুনামগঞ্জের,  দিরাই থানার, পাল হাটিতে  কবি বিদ্যাময় সরকারের পিতৃনিবাস।  ৫ বছর বয়সে কবি সপরিবারে চান্দপুর গ্রামে স্থানান্তরিত হয়ে যায়। সেখানেই কবি শৈশব ও কৈশোরকাল অতিবাহিত করে। কবি বিদ্যাময় ছোটবেলা থেকেই শান্ত ও নিবিড় প্রকৃতির ছিল। প্রায়  নির্জন কোনো স্থানে একা আনমনে বসে থাকতো।   কবি প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন করে গ্রামের পাঠশালায়। ছাত্র হিসাবে বিদ্যাময় খ্যাতিমান ছিলেন। মাধ্যমিক শিক্ষা শেষ করে কবি টোলে ছাত্র পড়াতে শুরু করে।   গল্পের বই পড়ার প্রতি  বরাবরই  আগ্রহ ছিল কবির। তার ছাত্ররা  স্কুল লাইব্রেরি থেকে তার জন্য বই আনতো।  একদিন একছাত্র 'ছড়ার মেলা ' নামে একটি বই কবিকে পড়তে দেয়।  বইটি পড়েই কবি লেখালেখিতে অনুপ্রাণিত হয়। সেই থেকেই কবির লেখালেখির হাতেখড়ি। কবি উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা  সম্পন্ন করে মামা বাড়ি থেকে।  সে সময় প্রচুর কবিতা রচনা করেছিলেন।